শিরোনাম
Home / জাতীয় / ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন-বিক্রিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন-বিক্রিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ ও কসমেটিক আইন-২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের এ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রস্তাবিত আইনে অন্যান্য সাজার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্তের বাইরে গিয়ে ওষুধ উৎপাদন, নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, মজুত বা প্রদর্শন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি বা মজুত বা প্রদর্শন করলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কসমেটিক পণ্য বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। এখন যাঁরা কসমেটিক ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ ছাড়া বিলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যাক্ট ও ১৯৮২ সালের ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্টকে যুগোপযোগী করে এই বিল আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ ও টিকা তৈরির বিষয়টি। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ রাখা এবং এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ওষুধ হিসেবে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ আছে।

Check Also

বিচারবহির্ভূূত ঘটনা এড়াতে সাবেক মন্ত্রী এমপিদের আশ্রয় : সেনাপ্রধান

ঘোষণা ডেস্ক :সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে বিচারবহির্ভূূত কোনো ঘটনা না ঘটে, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *