জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর করা মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার(২৭ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া একই আইনের ২৯ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন লাখ জরিমানা, অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দুই ধারার সাজা পৃথকভাবে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামি যদি জরিমানার টাকা প্রদান না করেন তাহলে একটি সাজার পর অপর সাজাটি কার্যকর হবে।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বলেন, বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন- ফেসবুকে এমন মিথ্যা পোস্ট দেন। যা আদালতে আমরা ৮ জন সাক্ষী ও যুক্তি উপস্থাপন করে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এমন পোস্ট দেন ইন্সপেক্টর মাহমুদ সাইফুল আমিন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালতে।