রমজান উপলক্ষে যাত্রী হয়রানি ও যানজট কমাতে বাস মালিক- শ্রমিকদের ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ট্রাফিক বন্দর ও পশ্চিম বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তক করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ট্রাফিক পশ্চিমের উপ পুলিশ কমিশনার মো তারেক আহমেদ, ট্রাফিক বন্দরের উপ পুলিশ কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাফিক পশ্চিমের টিআই প্রশাসন জাহিদুল ইসলাম, ট্রাফিক বন্দরের টিআই প্রশাসন আমির ফারুক, আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ, লাইন সেক্রেটারি বশর আহমেদ, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের চট্রগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অলি আহমদ, লং ভ্যাহিক্যাল মালিক সমিতির সভাপতি ছিদ্দুকুর রহমান, শ্রমিক সংগঠনের নেতা মো. হাসান প্রমুখ।
২৫টি নির্দেশনা হলো :
১) এ.কে.খান মোড় থেকে আসা আন্তঃজেলা বাসগুলো অলংকার মোড় থেকে লেফ্ট টার্ন করে সিডিএ মার্কেট হয়ে সাগরিকা মোড়ে গিয়ে রাইট টার্ন হবে।
২) টেবিল নিয়ে ফুটপাত কিংবা রাস্তার উপর কাউন্টার বসানো যাবে না।
৩) পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলার রুট পারমিটবিহীন বাস সিটিতে প্রবেশ করা যাবে না।
৪) অলংকার/ একে খান মোড় নগরীতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ মোড় হওয়ায় তা যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে শুভপুর/কদমতলী হতে ছেড়ে আসা বাসগুলো অলংকার মোড়ে বেশি সময় অবস্থান করা যাবে না।
৫) অলংকারের পূর্বপাশে সৌদিয়া/বাঁধন/স্টার লাইন / রোহান সার্ভিসের বাস গুলো অবস্থান করায় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বাসগুলো যাতে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি না করে।
৬) দক্ষিণ বঙ্গের দূরপাল্লার কোন বাস ইপিজেড এলাকায় দাঁড়ানো যাবে না।
৭) রাস্তার উপর বাসের স্টার্ট বন্ধ করে কোন চালক যেন আসন ত্যাগ না করেন।
৮) পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দূরপাল্লার যাত্রী নিয়ে সিটি সার্ভিসের বাস আন্তঃজেলা রুটে চলাচল করা যাবে না।
৯) সাগরিকা মোড়ে পিকআপ ভ্যান রাখা যাবে না।
১০) ঈদের কয়েকদিন পূর্ব থেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লভেহিক্যাল, প্রাইম মুভার চলাচলে একেখান/ অলংকার মোড় ব্যবহার না করে টোল রোড ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১) হট লাইন সার্ভিস নামীয় কতগুলো অবৈধ কাউন্টার অলংকার এলাকায় যাত্রীদের প্রতারণা করে থাকে। আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় এই ভূঁইফোড় কাউন্টারগুলো উচ্ছেদ করতে হবে।
১২) পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় ঘরমুখো দূরপাল্লার যাত্রীদের টাকা পয়সা /মালামাল ছিনতাই করার জন্য মলম পার্টি, ব্যাগ টানা পার্টি, গামছা পার্টি ইত্যাদি নামে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। ছিনতাই প্রতিরোধে পোষাকধারী পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তঃজেলা বাস মালিক/শ্রমিকদের সহযোগিতা করতে হবে।
১৩) যানজট নিরসন ও অজ্ঞান পার্টি, ব্যাগ টানা পার্টি, ছিনতাইকারী প্রতিরোধে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষ পোষাকধারী কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস মালিক/শ্রমিক সমিতিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৪) আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুষ্ঠ যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করার জন্য একটি “বিশেষ কমিটি” গঠন করার জন্য আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতিকে নির্দেশ দেয়া হলো।
১৫) বাস কাউন্টারের সামনে মাইক ব্যবহার করে শব্দ দূষণ করা যাবে না।
১৬) কোন প্রকার রুট পারমিটবিহীন বাস চালানো যাবে না।
১৭) সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
১৮) দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনের নামে যাত্রী ও যাত্রীর মালামাল টানাটানির হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৯ ) আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতি কর্তৃক হাইরোডে বা মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে।
২০) কমিশন কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট ব্ল্যাক (কালোবাজারি) বন্ধ করতে হবে।
২১) আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি, আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক সংগঠন যাত্রী হয়রানি বন্ধে টিকিটে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়া নিশ্চিতকরণ প্রসঙ্গে।
২২) শহর থেকে বহির্গামী গণপরিবহন কোন ভাবেই রাস্তায় ১ লাইনের অধিক গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
২৩) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণপরিবহণ ব্যতিত পণ্য পরিবহনের গাড়িতে যাত্রী বহন করা যাবে না ।
২৪) সড়ক-মহাসড়কে সকল প্রকার চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।।
২৫) রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চালানো যাবে না।