গাজী গোফরান: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এসময় ঘরে থাকা অবস্থায় একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী আগুনে দগ্ধ হন। গুরুতর আহত প্রতিবন্ধী এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জঙ্গল কোকদন্ডী কাজীর পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
অগ্নিকান্ডে নুরুল ইসলামের মেয়ে খালেদা বেগম (৩২) শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘর থেকে বের হতে না পারায় শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে গুরুতর আহন হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আহতরা হলেন- মৃত আব্দু ছবুরের ছেলে মোঃ করিম, মৃত নুর আহমদের ছেলে মোঃ ইসমাইল, মৃত ফোরক আহমদের ছেলে শামশু মিয়া ও এন্তু মিয়া, মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মোঃ ইলিয়াছ, রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ মামুন ও মোঃ হাসান, কায়ছার আহমদের ছেলে মোঃ শাকিল, মৃত রশিদ আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও এন্তু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার আবুল বাশার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই কিন্তু সেখানে গাড়ী নিয়ে প্রবেশ করতে পারিনি। পরে ভ্যান ও কাঁধে করে আমাদের মালামাল নিয়ে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর পুরোপুরিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদত আলম বলেন, আগ্নিকাণ্ডে ঘরগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ঘর থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী দগ্ধ হন, সে এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই দরিদ্র। এই ব্যাপারে আমাদের এমপি মহোদয় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরীকে জানানো হয়েছে।