কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমা জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। এই নায়কের বিরুদ্ধে গত ১৫ মার্চ বিকেলে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতিতে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার লিখিত অভিযোগ করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তবে শাকিব খান জানান তার অভিযোগ মিথ্যা। উল্টো শাকিব খান ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি ভুয়া, মিথ্যাবাদী, বাটপার। দাবি করেছেন তিনি ওই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করতে যান তিনি। পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
একই অভিযোগে রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে যান শাকিব। সেখানে ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বর্বর ধর্ষণকারী হিসেবে পুলিশের নথিতে উঠে এসেছে শাকিব খানের নাম। সে দেশের পুলিশের একটি রিপোর্টের কপি ইতোমধ্যেই হাতে এসেছে।
রিপোর্টে দেখা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাকিব খান ওরফে রানা। ক্যারিয়ারের প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েই এমন ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী অ্যানি সাবরিন নিজেই। মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথিউ জন ক্রুকসন।
পুলিশ রিপোর্টে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে নভোটেল দ্য গ্র্যান্ড প্যারেড অ্যাপার্টমেন্ট ৭২১ ব্রাইটন লা স্যান্ডস হোটেল কক্ষে রাত ২টা থেকে ৪ পর্যন্ত অ্যানিকে ধর্ষণ করেন শাকিব খান।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ধর্ষক শাকিব খান মধ্যপ অবস্থায় মাতাল হয়ে অ্যানি সাবরিনের যোনি ও পায়ুপথে নির্মমভাবে যৌনচার চালিয়েছেন।
পুলিশ অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শাকিব খান রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী অ্যানি সাবরিন তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহর ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। সাবরিন ও উল্লাহ বাংলাদেশি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন।