ঘোষণা ডেস্ক : বাংলাদেশে সবমিলিয়ে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল, যা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১৪ লাখে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসার নিরাপত্তা বিষয়ক ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া দুরূহ কাজ। এ শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামাল দিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।
দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো বিভিন্ন রকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিত অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরও বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা।
তিনি বলেন, দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোকে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।
প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সম্মেলন শুরু হয়, যা আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি অ্যালাইন বেরসেট সম্মেলনটির উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস আধানোম। সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।