
নিজস্ব প্রতিবেদক :একটি ভবনের নকশা অনুমোদনের পরও ‘ঘুষ দাবি করে’ অনুমতিপত্র না দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান শেষে সংস্থার সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার দাবি করেন। ‘ঘুষ’ লেনদেনের অভিযোগ যাচাই করতে বিস্তারিত তদন্ত করার কথা বলেন তিনি।
তবে সিডিএ চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিমের দাবি, নকশা অনুমোদনের আগেই ভবন মালিক নির্মাণ কাজ শুরু করে দেওয়ায় তখন অনুমতিপত্র দেয়া হয়নি।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীর বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ রোডে ১৩ তলা ভবনের জন্য আবেদন করেছিলেন হাসান মুরাদ নামের এক ব্যক্তি। ২০২৩ সালের ২৩ মে তাকে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তারপর ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল নকশা অনুমোদনের জন্য তিনি আবেদন করেন। ওই বছরের ১৩ মে সিডিএ’র ইমারত নির্মাণ কমিটি-১ এর সভায় ভবনটির নকশা অনুমোদিত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে নকশার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি।
পরে হাসান মুরাদ এ বিষয়ে দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে তিনি সিডিএর কয়েকজন কর্মকর্তা নথি বিভিন্ন সময় ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন। অনুমোদনপত্র না দিয়ে নানা অজুহাতে ‘অর্থ নেওয়া হয়’ এবং একপর্যায়ে ভবন ভাঙা ও জরিমানার মত পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে তার অভিযোগ।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নথি ও আদেশ পর্যালোচনা করে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নকশা অনুমোদন পাওয়ার পরও অনুমোদনপত্র ইস্যু না করা একটি গুরুতর অনিয়ম এবং এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগের বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান নুরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “এটা বেশ আগের ঘটনা। দুদক একটা অভিযোগ পেয়েছে। আমরা তাদের কাগজপত্রগুলো সরবরাহ করেছি।
“সেই অভিযোগটি, আমরা দেখেছি নকশা পাওয়ার আগে তারা এই ভবন নির্মাণ করেছে। যে কারণে ইমারত নির্মাণ কমিটির সভায় নকশা অনুমোদন দেওয়া হলেও নকশাটি ডেলিভারি করা হয়নি।”
তার অভিযোগ, “ওই ভবনের মালিক ভবনটি অবৈধভাবে নির্মাণ করেছেন। যখন আমরা অ্যাকশন নিতে গিয়েছি, তখন তিনি বললেন সিডিএ’র কিছু লোক তখন উনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যাদের কারণে নকশা অনুমোদনের পরেও নকশাটা পেতে দেরি হয়েছে।
“এটার সত্য-মিথ্যা যাচাই করার জন্য দুদক এখানে এসেছে। আমরা দুদককে সার্বিক সহযোগিতা করছি। দুদক তদন্ত করে দেখবে কেন তখন অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে। দুদকের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে আমরা অবশ্যই বিষয়গুলো দেখব।”