
ঘোষণা ডেস্ক :সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিনা খন্দকার আন্না'র আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৮ ডিসেম্বর সাংবাদিক শওকতকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির রমনা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। তবে এইদিন মামলার মূল নথী না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানি জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন রাজধানীর মিন্টো রোড এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এরপর তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলার সূত্র ধরেই শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ দীর্ঘ সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।