ঘোষণা ডেস্ক :চট্টগ্রাম নগরীতে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় দাফনের ৪০ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূ আলফা শাহরিনের লাশ উত্তোলন পরবর্তী তদন্ত শেষে বিবি আয়েশা নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গ্রেফতার নারী নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামালার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওসমান। তাকে কর্ণফুলী থানাধীন সুগার মিল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছরের ১৩ জুন সকাল ১০টার দিকে বায়েজিদ থানার চালিতাতলী বাজারের মসজিদ সংলগ্ন নুরুল করিমের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করে পিবিআই।
নিহত গৃহবধূর নাম আলফা শাহরিন (২৬)। তিনি বায়েজিদ বোস্তামি থানার চালিতাতলী বাজারের দারোগা বাড়ির নুরুল করিমের মেয়ে ও পাঁচলাইশ হাদু মাঝি পাড়া বাড়ি মৃত সিরাজুল মোস্তফার ছেলে মো. জাহেদুল মোস্তফার স্ত্রী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, যৌতুকের টাকা না পেয়ে শাশুড়ি, ননদ ও দেবর মিলে শাহরিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে— এমন অভিযোগ এনে গত ৬ মে আলফা শাহরিনের শাশুড়ি বিবি আয়েশা (৪৮), তার ছেলে সামির (২১) ও মেয়ে আশফিকা (১৯)কে আসামি করে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ একটি পিটিশন দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা নুরুল করিম।
আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বিকালে ‘রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে’ শাহরিনের ফাঁস লেগেছে বলে তার বাবার (বাদী) কাছে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেন বিবি আয়েশা (শাশুড়ি)। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে বেড রুমের বিছানায় মুমূর্ষ অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন নুরুল করিম। এরপর মেয়েকে নগরীর বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড ডেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে যান নুরুল করিম।
সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে শাহরিনকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। আইসিইউ খালি না থাকায় শাহরিনকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর বেসরকারি চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল ভোরে আলফা শাহরিনকে মৃত ঘোষণা করে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকেরা। ওই দিন বেলা ২টায় বাবা নুরুল করিমের পারিবারিক কবরস্থানে শাহরিনকে দাফন করা হয়।
দাফন করার আগে মরদেহের গোসল দেওয়া এক নারী শাহরিনের শরীরে একাধিক ‘আঘাতের চিহ্ন’ দেখে বাদীকে (নুরুল করিম) জানান।