ঘোষণা ডেস্ক :রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচলে আওয়ামী লীগের বাছাইকৃত নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত ৮ জুলাই ভাটারা থানার একটি কনভেনশন সেন্টারে প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের আগে থেকে টোকেন সরবরাহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, মেজর সাদিকুল হক এসব প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ১৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে মেজর সাদিককে আটক করে সেনাবাহিনী। সেনা সদর দপ্তর জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন (শম্পা)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে মেজর সাদিকের ভূমিকা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা সেনানিবাসে আটক মেজর সাদিকুল হক (ওরফে মেজর সাদিক) সম্পর্কে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সামরিক অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মেজর সাদিক কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিনের এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যমতে, তারা কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকাকালীন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশ জানায় বাংলাদেশ পুলিশে ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই।
এদিকে, আইএসপিআর শুক্রবার (১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অভিযুক্ত মেজরের বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পূর্ণ তদন্ত শেষে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তার কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকা সংক্রান্ত অন্য আরেকটি বিষয়েও তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে।