নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নিতেই প্রেমিক রণজিত দত্তকে খুন করে প্রেমিকা রুনা আক্তার। তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভবন থেকে নিচে ফেলে দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক প্রেমিকা রুনা আক্তারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার((১১ মে) বিকালে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির ডিসি (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- শুক্রবার বিকালে ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ভিকটিমের পরিবার ডবলমুরিং মডেল থানায় গিয়ে লাশটি রণজিতের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত রণজিতের স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘাতকদের গ্রেফতার অভিযানে নামে। রণজিতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রেমিকা রুনা আক্তার ওরফে পিংকি আক্তারকে শনাক্ত করে। শনিবার রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী থানার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে রোববার সকালে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকা থেকে সহযোগী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ওরফে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রণজিতের সঙ্গে রুনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রণজিত মাঝে মধ্যে রুনার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া জানান, ঘটনার দিন রুনার বাসায় গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ হাতিয়ে নেয়। ভিকটিম নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে অচেতন হয়ে পড়লে ঘাতকরা পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।