ঘোষণা ডেস্ক : জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। পাসপোর্ট করা, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন শেখ তিনি।
জানা গেছে, দেশে ২২ ধরনের সেবা পেতে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। এর মধ্যে রয়েছে- আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন। ট্রেড লাইসেন্স করতেও লাগে এনআইডি।
এছাড়া ই-টিকেটিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। কেউ সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা নিতে চাইলেও প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্রের।
এছাড়া পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগেও এনআইডির প্রয়োজন রয়েছে।
এনআইডি যাদের স্থগিত বা লক করা হয়, তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) একটি চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ জনের এনআইডি লক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। সুতরাং শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব সুবিধা পাবেন না।
সর্বমোট যে ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়েছে তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।