নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি তার এডহক কমিটির সভায় ৮৬৭ জন আইনজীবীর সদস্যপদ ও ৮৩টি চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকালে অনুষ্ঠিত এই সভায় সমিতির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমিতির ৯(১), ৯(২), এবং ৯(৩) ধারা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করা, ডিফল্টার সদস্য, চৌকিবারে মূল সদস্যপদ থাকা সত্ত্বেও সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করা এবং এমবি ফান্ডের সুবিধা গ্রহণের মতো নানা কারণে ৮৬৭ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি সদস্যপদ অপেশাদার হিসেবে বাতিল করা হয়েছে, ১৬টি সদস্যপদ চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে বাতিল হয়েছে, ২৩টি সদস্যপদ সমিতির চাঁদা না পরিশোধ করার কারণে এবং ২৭টি সদস্যপদ চৌকিবারে সদস্যপদ রেখে চেম্বার বরাদ্দ ও এমবি ফান্ডের সুযোগ গ্রহণ করার কারণে বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া, সভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা স্থিত লভ্যাংশসহ নগদায়নকৃত এফডিআরের টাকা পুনরায় এফডিআর হিসেবে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ জানান, সভায় ছয়টি প্রস্তাবের মধ্যে একটি ছিল ডিফল্টার সদস্যদের ঋণ স্থগিতকরণ এবং দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করা আইনজীবীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। তিনি আরও জানান, ৫৭ জন সদস্য তাদের চাঁদা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু অবশিষ্ট ৬০৮ জন চাঁদা পরিশোধ করেননি। এছাড়া, ২৮ জন সদস্য চেম্বার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন। সমিতির চাঁদা ও চেম্বার ভাড়া না পরিশোধ করা সদস্যদের সদস্যপদ ও চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মকবুল কাদের চৌধুরী বলেন, “আমরা দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই অপেশাদার আইনজীবীদের চিহ্নিত করে তাদের সদস্যপদ বাতিল এবং চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করেছি।” তিনি আরও জানান যে, এবি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪১ কোটি টাকার এফডিআর ও নগদায়ন করা রয়েছে, তবে কিছু ব্যাংকে টাকা রাখা দুর্বল ব্যাংকে হওয়ায় তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে, তারা কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাকি টাকা নগদায়ন ও নতুনভাবে সঞ্চয় করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, “সমিতিকে স্বাবলম্বী করা আমাদের মূল লক্ষ্য।”