নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আরজু আকতার (১৯) নামে কলেজপড়ুয়া ভাগ্নিকে (খালাতো বোনের মেয়ে) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আপন খালা-খালুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে নাজিম উদ্দীন (২৮) নামে এক যুবক।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার শিকার আরজু আকতার সপ্তাহখানেক আগে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আহত খালা-খালু আব্দুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০) নয়াপাড়ার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীন (২৮) সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়ন থেকে ৮ এপ্রিল খালার বাড়ি বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে নয়াপাড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন কলেজ পড়ুয়া আরজু আকতার। ওইদিন সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়ন থেকে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনও খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আরজু আকতারকে দেখতে পায়। পরে আরজু আকতার এখনো নানার বাড়িতে অবস্থান করছেন বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতে নাজিম উদ্দীন পুনরায় তার খালার বাড়িতে আসেন। পরে রাত ২টার দিকে আরজু বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ঢুকে আরজুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আরজুর মুখে কাপড় ঢুকিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন। এ সময় আরজুর চিৎকার শুনে তার নানা-নানির ঘুম ভেঙে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নাজিম তাদের গলা কেটে হত্যা করতে চায়। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম ও ফরিদা বেগমকে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ফরিদা বেগমের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।
পুলিশ আরজু আকতারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কলেজছাত্রীর নানা-নানি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাচ্ছে না। তবে শিঘ্রই ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে বলে ধারণা করছি।