বিশেষ প্রতিনিধি :নগরীর বাকলিয়া থানাধীন সৈয়দ শাহ রোডস্থ আমান আলী পেশকার বাড়ীর ১৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবু কালামের ছেলে ডাক্তার তানভীরুল আরাফাত ও তার স্ত্রী ডাক্তার নাজমুন নাহার আরজুর ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলে নিতে মরিয়া একই এলাকার ভূমিদস্যু মো.হাশেমের ছেলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং লিডার মো.আবছার প্রকাশ আবছার বাহিনী। তার দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ২ শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর বাধার মূখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসী আবছার তার দাবীকৃত জমির কোন ধরণের দলিল দেখাতে ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনীর টিম কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে আদালতের শরাণাপর্ণ হওয়ার পরামর্শ দেন। যেহেতু পূর্বে ০১/০৮/২০২৪ ইংরেজী তারিখে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ১৮৪৪৬/২৪ নং এল.এস.টি.মামলা এবং খতিয়ান সংশোধন বিষয়ক মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।
যার তফসিল নং মৌজা - বাকলিয়া, থানা-সাবেক পাঁচলাইশ, হাল থানা- বাকলিয়া,জেলা - চট্টগ্রাম আর.এস.১৯৮৩, ২০৩৮ নং খতিয়ানের আর.এস. ৩৬১৫,৩৬১৪ নং দাগের সামিল বি.এস.৭৮,৩১৫৪,৩১৫৬ নং খতিয়ানের বি.এস.নামজারী খতিয়ান নং ৪৭৮৯, বি.এস.১৭৭৭৮ দাগের সম্পূর্ণ ৫ শতক বি.এস.১৭৭৭৯, দাগের আন্দর ২ শতক বি.এস.১৭৭৮২ দাগের আন্দরে ৫ শতক বি.এস.১৩১০ দাগের আন্দরে ৩৫০ শতক নং দাগাদির মোট ২২ শতকের আন্দরে ১৬ শতক বা ৮ গন্ডা।
এদিকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলের অপচেষ্টায় ভাংচুরের ঘটনায় ডাক্তার তানভীরুল আরাফাত বাদী হয়ে মাননীয় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে একটি সি.আর মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ৫৩৪/২০২৪। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় তপশীলোক্ত সম্পত্তি মৌরশী সূত্রে আব্দুল কাদেরের ছেলে আবুল মাসুদ ও কন্যা লতিফা খাতুন প্রাপ্ত হইয়া নিয়মিত সরকারের রাজস্ব আদায় করে দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখলে ছিলেন এবং তাদের নামে বি.এস. ৪৭৮৯ নং নামজারী খতিয়ান সৃজন করা হয়।
ছফুরা খাতুন তপশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিক এবং ভোগ দখল থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে তার ৩ ছেলে ৪ মেয়ে যথাক্রমে আব্দুল ছোবাহান, আব্দুর রহিম, আব্দুর করিম, ছলেমা খাতুন, ছেনোয়ারা বেগম, রেজিয়া বেগম এবং খদিজা বেগম মালিক ও দখলদার হন।
তপশীল বর্ণিত সম্পত্তির মালিকগণ থেকে ২৮/১২/২৩ ইংরেজী তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত ৬৮৮৬ ও ৬৮৮৭ নং কবলামূলে ১৬ শতক বা ৮ গন্ডা সম্পত্তি বাদী এবং তাহার স্ত্রী খরিদা সূত্রে মালিক হন।
বাদী ও তার স্ত্রী তপশীলোক্ত সম্পত্তি ক্রয় করার পর টিন দিয়ে ঘেরা প্রদান করেন এবং ঘেরার ভিতর কেয়ার টেকার থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখার জন্য একটি টিনের গৃহ নির্মাণ করেন।