নিজস্ব প্রতিবেদক :চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার পর নগর বিএনপির চার শীর্ষ নেতার বাসায় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আক্রমণকারীরা বিএনপি নেতাদের বাসভবনের নিচে থাকা গাড়িতে আগুন দেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যৌথভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল টাইগারপাস-জিইসি হয়ে দু নম্বর গেটে যায়। পরে সেখান থেকে একটি পক্ষ চশমা হিলে অবস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা চালিয়ে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর বহদ্দারহাটে অবস্থিত মেয়রের বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে। দুটি হামলার পর নগরীর মেহেদীবাগে অবস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুর বাসা, বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসা, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর পাঁচলাইশ এলাকায় অবস্থিত বাসা এবং সাবেক সিটি মেয়র মীর নাছির উদ্দিনের চট্টেশ্বরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িতে আগুন দেওয়া হলে বাসভবনে থাকা সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।

বাসায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের শতাধিক কর্মী এসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ তুলেছেন শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, হামলাকারীরা আমার বাসার দরজা ভেঙে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। বাসায় আমার অসুস্থ মা রয়েছেন। তবে ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলেন না। হামলাকারীরা বাসার নিচে পার্ক করা ১০–১২টি গাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেন। গাড়িগুলো ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে থাকা চিকিৎসক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের। আগুনে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’

এছাড়া আমীর খসরু, মীর নাছিরের বাসায়ও আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাদের বাসায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ জড়িত নন। আমরা এখনো শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় অবস্থান করছি।

আমীর খসরুর বাসার সামনে গাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগরের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর।