এম. জিয়াউল হক : চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের অপরাধে এরশাদ হোসেন সানি (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের (২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৫)(ক) ধারায় আদালতে সৌপর্দ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। সানি চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের মাইজপাড়ার মুন্সি মিয়াজী বাড়ীর সামছুর আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা। তিনি বলেন, সম্পর্কের খাতিরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামীর নিকটসহ ইন্টারনেটে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আমরা এরশাদ হোসেন সানিকে গ্রেপ্তার করেছি। ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে এবং মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এরশাদ হোসেন সানি ভিকটিমের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত একদিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে যায়, সেখানে নাস্তা খাওয়ার সময় কৌশলে অভিযুক্তের মোবাইলে ভিকটিমের দুটি ছবি তোলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে অভিযুক্তের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই রাতে অভিযুক্ত ভিকটিমের মোবাইলে ফোন করে তার সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বলে। নতুবা ছবি ২টি ভিকটিমের নিকটাত্মীয়ের মোবাইলে প্রেরণসহ ও ইন্টারনেটে ভাইরালের হুমকি দেয়।
ভিকটিম নারী ভয়ে রবিবার (১৬ জুলাই) সকালে অভিযুক্ত যুবক সানির সঙ্গে ইপিজেড মোড়ে দেখা করেন। সানী সেই নারীকে ঐ দিন সকাল ৯টার দিকে বন্দর থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। হোটেল রুমে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর জোরপূর্বক ভিকটিমের কাপড় খুলে তার মোবাইল দিয়ে ভিকটিমের আপত্তিকর নগ্ন ছবি তুলে সে তার মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। এরপর থেকে ভিকটিমকে সানি তার সঙ্গে শারিরীকি সম্পর্কের জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
ওসি সঞ্জয় সিনহা জানান, নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সানীকে মাইজপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে। তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে।
সানির বিরুদ্ধে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।