নিজস্ব প্রতিবেদক : মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। শনিবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিএইচ আমীন একাডেমি মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী হোসেন চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখানেই শায়িত আছেন আফছারুল আমীনের বাবা ডা. ফজলুল আমীন ও মা হাজেরা খাতুন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিস প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পৌনে ১টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে তার মরদেহ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আনা হয়। এরপর স্টেডিয়াম থেকে মরদেহ দক্ষিণ কাট্টলীর বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আছরের সময় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে আনা হয়। নামাজের পর ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষজন উপস্থিত হন।
জানাজায় ইমামতি করেন গরীবুল্লাহ শাহ মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আনিসুজ্জামান। এতে অংশ নেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, নজরুল ইসলাম এমপি, নোমান আল মাহমুদ এমপি, আশিকুল্লাহ রফিক এমপি, এম.এ লতিফ এমপি, দিদারুল আলম এমপি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ডা. আফছারুল আমীনকে দাফন করা হয়। পারিবারিক ওই কবরস্থানেই শায়িত আছেন তার মা-বাবা।’
এর আগে শুক্রবার (২ জুন) বিকাল ৪টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবার সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ডা. আফছারুল আমীনের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ক্যানসার ধরা পড়ার পর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।