Home / জাতীয় / সরকারি কর্মচারীদেরকে ‌‘আপা’ বা ‘ভাই’ ডাকলে দোষের কিছু নেই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সরকারি কর্মচারীদেরকে ‌‘আপা’ বা ‘ভাই’ ডাকলে দোষের কিছু নেই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সরকারি কর্মচারীদেরকে ‌‘আপা’ বা ‘ভাই’ ডাকলে দোষের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার(২৫ মার্চ) মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক। তাদের স্যার বা ম্যাডাম ডাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

ভদ্রতার খাতিরে অনেকে স্যার বা ম্যাডাম ডাকেন। কিন্তু এটি ডাকা বাধ্যতামূলক কিছু নয়। কেউ যদি আপা বা ভাই ডাকেন, তাতে দোষের কিছু নেই। এতে মাইন্ড করারও কিছুই নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক— এই চিন্তা থেকেই কাজ করতে হবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।এর আগে, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, স্যার-ম্যাডাম বা এমন কিছু সম্বোধন করতে হবে, এমন কোনো রীতি নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে আপনার এটিচিউডটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গেলে যদি ওয়েলকামিং এটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন- এগুলো দুর্ব্যবহার। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলুন।

সুন্দর করে কথা বলাটা এমন না যে আপনি ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। দরকার সাধ্যমতো সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। সবাই মনে করে আপনার অফিস প্রধানমন্ত্রীর অফিসেরই একটি অংশ’, বলেছিলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম অর্থ মহোদয়া। জনাব বা জনাবা। রুলস অব বিজনেসে এটা নাই। আমাদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদের কাছে সেবা নিতে আসে, তাদের দিকে তাকাও, তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, আত্মীয়ের মতো। যারা সেবা দিতে আসো জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমার বেতন হয়। জাতির পিতার এ স্লোগানটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন চান বলেও এ দিন জানিয়েছিলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সেজন্য আমি নিজেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হই, তাদের অনুপ্রাণিত করি। মাঠ প্রশাসনের প্রধান বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নির্দেশনা দিই। তারা এসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনওদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন যে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। আমরা জনমুখী জনপ্রশাসন বলতে ওইটাই বলেছি। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। একজন ইউএনও যখন চলে যায় তখন কিন্তু মানুষ কাঁদে। বহুদিন তাকে মনে রাখে। সব গুণাবলি যেন থাকে, তারা যেন অতি মানবিক হয়, যোগ করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ ডাকতে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কন্যাসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এ ঘটনায় দেশব্যাপী নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

Check Also

নির্বাচন ঠেকাতে ডিসেম্বরে আসনভিত্তিক আন্দোলনে যাবে বিএনপি

ঘোষণা ডেস্ক : বিদ্যমান ব্যবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে সারাদেশে সংসদীয় আসনভিত্তিক আন্দোলন গড়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *