নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। চিটাগাং খুলশি ক্লাব লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ করেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’র সদস্য ও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট রফিক উদ্দীন বাবুল ভুঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে রফিক উদ্দীন বাবুল ভুঁইয়া অভিযোগ করেন, দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় তাকেসহ ক্লাবের কাজে নিয়োজিত ছয় শ্রমিকের নামে পাহাড় কাটার মামলা দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পুলিশ নিয়ে ক্লাবে ঢোকেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় পাহাড় কাটার অভিযোগে ক্লাবের অ্যাডমিন স্টাফ হাসান ও ছয় শ্রমিককে ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরে নিয়ে যান। তাদের ছাড়িয়ে আনতে পরিবেশ অধিদপ্তরে যান রফিক উদ্দীন বাবুল ভুঁইয়া। তার সঙ্গে যান নোয়াখালী চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ ও ক্লাবের দুজন সদস্য। পাহাড় কাটা হচ্ছে না বলে জানিয়ে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে অনুরোধ করেন রফিক উদ্দীন বাবুল ভুঁইয়া। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অনুরোধের পরও আটক শ্রমিকদের ছাড়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেন পরিবেশ অধিপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।
তার আরো অভিযোগ, পরিচালকের দপ্তর ত্যাগ করে চলে আসার সময় ক্লাবের স্টাফ হাসান ও সদস্য সুজাউদ্দীনকে ডেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিলে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন। এ কথা শুনে ফের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের দপ্তরে ঢুকে নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’র সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন রফিক উদ্দীন বাবুল।
সংবাদ সম্মলনে বলা হয়, পরিচালক কোনো কথা না শুনে তাকে দাবি মোতাবেক দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রফিক উদ্দীন বাবুল ভুঁইয়া এবং আটক ছয় শ্রমিককে আসামি করে খুলশি থানায় মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে রফিক উদ্দীন দাবি করেন, ক্লাবের বায়নাকৃত জায়গায় ফুলের বাগান, সদস্যদের জন্য ওয়াকওয়ে, সুইমিংপুল, রিসোর্ট ক্লাব কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ চলছে। পাশাপাশি ক্লাবের জায়গায় একটি টিলা ড্রেসিং করে সেখানে বাংলো তৈরি করা হচ্ছে। সেখানো কোনো পাহাড় বা টিলা কাটা হচ্ছে না।
এ অভিযোগ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে রবিবার সন্ধ্যায় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।